বিনোদন

পরীমনিকে বাঁচাতে লন্ডন থেকে ব্যারিস্টার পাঠাতে চান গাফফার চৌধুরী

পরীমনিকে বাঁচাতে লন্ডন থেকে ব্যারিস্টার পাঠাতে চান গাফফার চৌধুরী

চিত্রনায়িকা পরীমনি মাদক মামলায় গ্রেফতারের পর রিমান্ড শেষে বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন। এদিকে প্রখ্যাত লেখক, সাংবাদিক ও কলামিস্ট আব্দুল গাফফার চৌধুরী এ নায়িকার জন্য ন্যায়বিচার চেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে একটি আবেদন জানান।

আবেদনে তিনি লিখেছিলেন, বাংলাদেশে শেখ হাসিনার শাসনামলেই নারীদের ক্ষমতায়ন শুরু হয়েছে। সেজন্যই তার কাছে আমার সবিনয় আবেদন, পরীমনির ব্যাপারে তিনি হস্তক্ষেপ করুন।

তাকে বিচার থেকে রক্ষা করতে বলি না। তাকে হায়েনার গোষ্ঠীর হাত থেকে বাঁচানোর জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি। পরীমনির সঙ্গে যে আচরণ করা হচ্ছে, তা যে দেশের আর একজন নাগরিকের ওপর করা হবে না, তার নিশ্চয়তা কী?

আমি দেশের সচেতন বুদ্ধিজীবী শ্রেণির কাছে আবেদন করি, তারা পরীমনির ওপর এই হেনস্তার তীব্র প্রতিবাদ করুন। দয়া করে চুপ করে থাকবেন না। পরীমনির ওপর অত্যাচারের প্রতিবাদ করুন। মিডিয়ার কাছে অনুরোধ, তারা যেন অত্যাচারিতের পক্ষে দাঁড়ায়। অত্যাচারী গোষ্ঠীর পক্ষে না যায়।

প্রবীণ এই সাংবাদিক ও লেখক গ্রেফতারের পর থেকেই পরীমনির মামলার গতি-প্রকৃতির নজর রাখছেন। ব্যারিস্টারদের সঙ্গেও কথা বলেছেন তিনি পরীমনির মামলায় আইনি সহায়তার জন্য। ক’দিন আগে একজন রাজি হয়েছেন। শেষ পর্যন্ত যদি একজনও রাজি না হন, তাহলে লন্ডন থেকে ব্যারিস্টার পাঠানো হবে।

এরইমধ্যে তিনজন ব্যারিস্টার অপারগতা প্রকাশ করেছেন। মহান একুশের গানের রচয়িতা আব্দুল গাফফার চৌধুরী গণমাধ্যমকে নিজেই এ তথ্য জানিয়েছেন। লন্ডনের আইপি টিভি দর্পন-কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা জানিয়েছেন তিনি।

গাফফার চৌধুরী বলেন, তিনি ছবিতে দেখেছেন শুধু পরীমনিকে। পরীমনির সঙ্গে তার পরিচয় নেই। সরাসরি দেখেননি। । কিন্তু হঠাৎ আমাকে বাঁচাও বাঁচাও বলে একদিন অনলাইনে দেখলাম চিৎকার করছে। তার বিরুদ্ধে মাদকাসক্তের অভিযোগ আছে। তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের কোনো অভিযোগ নেই।

কিন্তু তাকে গ্রেপ্তারের জন্য যেভাবে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছাড়া র‍্যাব আসে তা ছিল রীতিমতো ভীতিকর। কোন আদেশে আসলো? তা জানার চেষ্টা করলাম। অনুসন্ধান করতে গিয়ে দেখি, সে আক্রোশের শিকার। এটাই বা কি করে আশা করি একজন নায়িকার বাড়িতে মদ পাওয়া যাবে না, তার বাসায় এলএসডি পাওয়া গেছে।

আমার ধারণা, এটা সাজানো হয়েছে। যাইহোক, আমি তার পক্ষে দাঁড়িয়েছি তার পক্ষে আরও কিছু লোক দাঁড়িয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিঠি লিখেছি। খবরের কাগজে লিখেছি। ১৭ জন বিশিষ্ট নাগরিক বিবৃতি দিয়েছেন। কোনো সাড়া মেলেনি।

গাফফার চৌধুরীর বলেন, আমি বিচারের বিরুদ্ধে নই।
ন্যায়ের কথা হলো পরীমনি দোষী হলে নিয়মমাফিক তার বিচার হবে। কিন্তু তাকে ধরার সাথে সাথে বলা হচ্ছে, রাতের রানী। এভাবে চরিত্রহনন সম্পূর্ণ বেআইনি।

অন্য কোনো দেশে হলে সংশ্লিষ্ট বাহিনীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হতো। প্রবীণ এই সাংবাদিক সাক্ষাৎকারের এক পর্যায়ে বলেন, গরিবের ঘর থেকে এসেছে মেয়েটি। এটাও একটা অপরাধ। পরীমনি মেয়েটি অসম্ভব সুন্দরী।

বলা হচ্ছে, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে। আজও জানা গেল না সুনির্দিষ্ট অভিযোগটা কি? মদের বার নেই গুলশান,বনানীতে এমন বাড়ি কি আছে?

আরও সংবাদঃ পরীমনিকে বাঁচাতে লন্ডন থেকে ব্যারিস্টার পাঠাতে চান গাফফার চৌধুরী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *