বরিশালে ইউএনও’র বিরুদ্ধে মামলা, পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ

বরিশালে ইউএনও’র বিরুদ্ধে মামলা, পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ।

বরিশালে হামলা-সংঘর্ষের ঘটনায় সদর ইউএনও মুনিবুর রহমানের বিরুদ্ধে প্যানেল মেয়র ও সিটি রাজস্ব কর্মকর্তার করা মামলা ২টি গ্রহণ করেছেন আদালত। দতন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে পিবিআইকে।

এর আগে আদালতে দুটি মামলার আবেদন করা হয়েছে সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মুনিবুর রহমান ও কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। আজ বেলা ১১টার দিকে মামলা দুটির আবেদন করা হয় বরিশালের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাসুম বিল্লাহর আদালতে।

এর মধ্যে একটি মামলার আবেদন করেন অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম খোকন বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) প্যানেল মেয়র ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক। অপর মামলাটির আবেদন করেন বিসিসির রাজস্ব কর্মকর্তা বাবুল হালদার। দুই মামলাতেই প্রধান আসামি করা হয়েছে ইউএনও মুনিবুর রহমানকে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তালুকদার মো. ইউনুস।

তিনি জানান, আবেদন দুটি মামলা হিসেবে গ্রহণ করবেন আদালত আমরা শতভাগ নিশ্চিত। মামলা দুটিতে বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহকে শত্রুপক্ষের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে ইউএনও মুনিবুর রহমান ও কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি নুরুল ইসলামসহ তাদের সহযোগীরা হত্যার উদ্দেশ্যে গুলিবর্ষণ ও মারধর করেছেন এবং তারা ভাঙচুর করে ১০০ কোটি টাকার সম্পদের ক্ষতি করেছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

‘নিয়মিত কাজ করতে গেলে ইউএনও বাধা প্রদান করেন এবং গুলিবর্ষণ করেন বলেন একটি মামলার বাদী অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম খোকন। এরপর
আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর গুলিবর্ষণ ও বেধড়ক মারধর করেন সেখানে পুলিশ এনে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের মতোই তিনি বরিশালে ১৮ আগস্ট সিটি মেয়রসহ নেতাকর্মী, সিটি করপোরেশনের কর্মচারীদের হত্যার জন্য গুলি চালান। আমরা আদালতে এসেছি এই অপরাধের বিচার চাইতে।

অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম খোকনের মামলায় ইউএনও মুনিবুর রহমান ছাড়াও আসামি করা হয়েছে 
তার নিরাপত্তায় নিয়োজিত পাঁচ আনসার সদস্য এবং অজ্ঞাতনামা ৫০ জন,ওই থানার এসআই শাহজালাল মল্লিক ও কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নুরুল ইসলামকে।

অন্যদিকে সিটি করপোরেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা বাবুল হালদারের করা মালায় আসামি করা হয়েছে ইউএনও মুনিবুর রহমান, তার নিরাপত্তায় নিয়োজিত পাঁচ আনসার সদস্য এবং অজ্ঞাতনামা ৫০ জনকে।

প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহের বুধবার (১৮ আগস্ট) রাতে বরিশাল সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে ব্যানার অপসারণকে কেন্দ্র করে ক্ষমতাসীন দল, আনসার ও পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে চোখ নষ্ট হয় দুজনের। শতাধিক আহত হয়। ওই ঘটনায় ইউএনও মুনিবুর রহমান গুলিবর্ষণ করেন বলে অভিযোগ আছে।

ঘটনার পর প্রধান আসামী করে ৬০২ জনের বিরুদ্ধে দুটি পৃথক মামলা করেন ইউএনও নিজে এবং কোতোয়ালী থানার এসআই শাহজালাল মল্লিক বাদী হয়ে বিসিসি মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহকেও আসামি করা হয়।  এ দুই মামলায় এরই মধ্যে কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতাসহ ২২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আজ রোববার গ্রেফতারকৃত আসামিদের জামিন আবেদন করা হলেও তা নামঞ্জুর করেন আদালত।

আরও সংবাদঃ বরিশালে ইউএনও’র বিরুদ্ধে মামলা, পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ।

Leave a Comment