নারায়ণগঞ্জ বন্দর উপজেলার রাজবাড়ী এলাকায় স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শিক্ষক স্বামী আমিরুল ইসলামকে আটক করেছে পুলিশ। স্ত্রীকে হত্যার পর শরীরে লবণ মেখে কম্বল মুড়িয়ে আজ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দিতে গিয়ে আটক হয় ওই স্বামী।
মঙ্গলবার দুপুরে স্ত্রীর লাশ নিজেই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে নিয়ে যায়।
আটককৃত আমিরুল ইসলাম বন্দর রাজবাড়ির এলাকার সুলতান মিয়ার ভাড়াটিয়া রফিকুল ইসলোমের ছেলে। তিনি বন্দর গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের গণিত শিক্ষক হিসাবে কর্মরত। নিহত শান্তা সোনারগাঁও উপজেলার বারদী এলাকার কলিমুল্লার মেয়ে।
এসআই সবুর জানান, লোক মারফত খবর পেয়ে ঘটনাস্থালে গিয়ে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য নিহতের স্বামীকে আটক করা হয়েছে। নিহত শান্তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছোট ছোট আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
বন্দর থানার ওসি মো. ফখরুদ্দীন ভূইয়া জানান, বন্দর গার্লস স্কুলের শিক্ষক মো. আমিনুল ইসলাম তার স্ত্রীকে হত্যা করে শরীরে লবন মেখে কম্বল পেঁচিয়ে লাশ ভাড়া বাসা রেখে দেয়। মঙ্গলবার দুপুরে স্ত্রীর লাশ নিজেই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে নিয়ে যায়। কর্তব্যরত চিকিৎসক মাথায় আঘাত এবং ২-৩ দিন আগে মৃত্যু হয়েছে জানান। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ লাশ জরুরি বিভাগে রেখে স্বামী আটক করে থানায় খবর দেন।
এ সংবাদ পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। পরে সুরতহাল তৈরি করে লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। স্বামী আমিনুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রয়েছে।