৮ আগস্ট( বুধবার) থেকে রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক ও বস্ত্র খাতের শ্রমিকদের করোনার টিকা দেওয়া শুরু হবে বলে জানিয়েছেন এই খাতের উদ্যােক্তারা। সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তত্ত্বাবধানে কারখানায় শ্রমিকদের টিকা দেওয়া হবে। রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সদস্য কারখানার শ্রমিক-কর্মচারীদের তালিকা সংশ্লিষ্ট এলাকার সিভিল সার্জন কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, ‘শ্রমিকদের টিকা প্রদানের লক্ষ্যে কারখানাগুলো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। শ্রমিক- কর্মচারীদের তালিকা তৈরি করে সিভিল সার্জন কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। আশা করছি এবার টিকাদান বড় পরিসরে শুরু হবে।’
তিনি জানান, চট্টগ্রাম ইপিজেডের শ্রমিকদের টিকা দেওয়া হবে ৮ আগস্ট। ধাপে ধাপে পরবর্তীতে সব কারখানার শ্রমিকরা টিকা পাবে।
এই শিল্পের দুই সংগঠন বিজিএমইএ ও বিকেএমইএর পক্ষ থেকে পৃথকভাবে চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে পোশাককর্মীদের টিকাদানের লক্ষ্যে।
প্রতিটি পোশাক কারখানায় কর্মরত চিকিৎসক ও নার্সদের সঙ্গে সমন্বয় করে অস্থায়ীভাবে নিয়োগপ্রাপ্তরা টিকাদান কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। সূর্যের হাসিসহ পোশাককর্মীদের টিকাদানে সহায়তা করবেন স্থানীয় কমিউনিটি ক্লিনিকের কর্মীরাও।
ফারুক হাসান বলেন, টিকাদানের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাচ্ছে পোশাক শ্রমিকরা। রপ্তানি কার্যক্রম সচল রাখতে সরকারের এই সিদ্ধান্তকে তিনি সাধুবাদ জানান।
করোনার সংক্রমণ রোধে গাজীপুরের চারটি পোশাক কারখানার শ্রমিকদের গত ১৮ জুলাই টিকাদান শুরু হয়।নিবন্ধন ছাড়াই ২৯ হাজার শ্রমিককে টিকা দেওয়া হয় পোশাক শ্রমিকদের দ্রুত টিকার আওতায় আনতে।
কারখানাগুলো হচ্ছে কোনাবাড়ী এলাকার তুসুকা ডেনিম, তুসুকা ওয়াশিং, গাজীপুরের লক্ষ্মীপুরা এলাকার স্পেরো অ্যাপারেলস ও ভোগরা এলাকার রোজভ্যালি গার্মেন্টস।
দুই দিন টিকা দিয়ে ঈদের ছুটি ও লকডাউনের কারণে এখন টিকা কর্মসূচি বন্ধ রয়েছে। তবে এবার বড় পরিসরে টিকা দেওয়া শুরু হচ্ছে ৮ আগস্ট থেকে।
বিজিএমইর হিসাবমতে বর্তমানে পোশাকখাতে প্রায় ৪০ লাখ শ্রমিক কর্মরত রয়েছে। সম্প্রতি স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, সরকার জনগণের টিকা নিশ্চিতকরণের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছে। এ পর্যন্ত ২১ কোটি ডোজ টিকার নিশ্চয়তা পাওয়া গেছে। এর মাধ্যমে দেশের প্রায় ৭০ শতাংশ জনগোষ্ঠীকে টিকার আওতায় আনা হবে। সুতরাং টিকা নিয়ে সংকট হবে না।