অন্যান্য

পাঞ্জশিরে মুখোমুখি হচ্ছে তালেবান ও মাসুদ বাহিনী

পাঞ্জশিরে মুখোমুখি হচ্ছে তালেবান ও মাসুদ বাহিনী

মার্কিন সেনা প্রত্যাহার শুরু হতে না হতেই তালেবানরা
ফের আফগানিস্তানের ক্ষমতায় এসেছে। গত ১৫ আগস্ট কাবুল দখলের মাধ্যমে পুরো আফগানিস্তান নিজেদের নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে দাবি করে তারা। কিন্তু তালেবান দেশটির পাঞ্জশির উপত্যকা এখনও নিয়ন্ত্রণে নিতে পারেনি। ওই এলাকা দখল করতে গিয়ে গত কয়েক দিনে বাধার মুখে পড়তে হয়েছে তাদের।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তালেবান পাঞ্জশির দখলের জন্য সর্বশক্তি দিয়ে নামার ঘোষণা দিয়েছে। জানা গেছে, শতাধিক তালেবান যোদ্ধা পাঞ্জশির দখল করতে ইতোমধ্যে রওনা হয়েছেন।

আফগানিস্তানে একের পর এক প্রদেশ বিনাযুদ্ধে আত্মসমর্পণ করলেও সে পথে হাঁটেনি হিন্দুকুশ পর্বতের পাদদেশে অবস্থিত পাঞ্জশির উপত্যকা। ১৫ আগস্টের পরও এই এলাকার বেশ কয়েকটি প্রদেশ তালেবানের দখলের বাইরে ছিল।

সেখানে তালেবানের বিরুদ্ধে আহমদ মাসুদের নেতৃত্বে লড়াই হচ্ছে। তার সঙ্গে রয়েছেন আশরাফ গনির শাসনামলের ভাইস প্রেসিডেন্ট আমরুল্লাহ সালেহও। তাদের সঙ্গে আফগান বাহিনীর একটি অংশও যোগ দিয়েছে। এই বাহিনীর সামনে পড়ে তালেবান গত কয়েকদিনে বেশ কয়েকবার পিছু হটেছে। তারা এবার সর্বশক্তি দিয়ে সেই পাঞ্জশির দখলে নামতে চাইছেন।

এক টুইটার অ্যাকাউন্টে সম্প্রতি তালেবানের পক্ষে লেখা হয়েছে – স্থানীয় প্রশাসন শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে রাজি হয়নি। তাই পাঞ্জশির দখলের জন্য ইসলামিক আমির শাহির শতাধিক মুজাহিদীন।

সংবাদ সংস্থা এএফপি জানিয়েছেন, এদিকে বিরোধী জোটরা তালেবানের বিরুদ্ধে লড়াই করতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পাঞ্জশিরে জড়ো হচ্ছেন।

মাসুদও এক সংবাদমাধ্যমকে রোববার বলেছেন, সাবেক আফগান সরকারের বহু সেনা আফগানিস্তানের বিভিন্ন প্রদেশ থেকে পাঞ্জশিরে এসেছেন। ফলে পাঞ্জশির তালেবান বাহিনীকে রুখতে প্রস্তুত। সেই প্রতিরোধ ভাঙতে তালেবান যোদ্ধারাও এগোচ্ছেন।

এক সপ্তাহ আগে তালেবান কাবুল দখল করার পর কাবুলের উত্তরে অবস্থিত পাঞ্জশির উপত্যকায় দেশটির সাবেক সরকারি বাহিনীর সেনারা জড়ো হন।
তালেবানকে প্রতিরোধের সুর ওঠে সেখান থেকেই। তবে ঐতিহ্যগতভাবেই ওই এলাকাটি তালেবান-বিরোধী হিসেবে পরিচিত।

মাসুদের শক্ত ঘাঁটি কাবুলের উত্তর-পশ্চিমে পার্বত্য পাঞ্জশির উপত্যকায়। এর আগে আফগানিস্তানের তালেবান বিরোধী প্রতিরোধের প্রধান আউটপোস্টের নেতা আহমাদ মাসুদ জানিয়েছিলেন, তিনি এক সপ্তাহ আগে কাবুলে ক্ষমতা দখলকারীদের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ আলোচনা হবে বলে আশা করেছেন। তবে, তার বাহিনী লড়াই করতে প্রস্তুত। সূত্র : আলজাজিরা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *