তৃতীয় দিনে অপরাজিত থাকা দুই ব্যাটসম্যান মেহেদি হাসান মিরাজ ও ইয়াসির আলি রাব্বি চতুর্থ দিনে দেখেশুনে মোকাবেলা করতে থাকেন কিউই বোলারদের। ৬ উইকেট হারিয়ে ৪০১ রান নিয়ে বাংলাদেশ দল চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করে প্রথম ইনিংসে।
৮৮ বলে ৪৭ রান করে মেহেদি হাসান মিরাজ টিম সাউদির শিকারে পরিণত হয়ে সাজঘরে ফেরত যান । অর্ধশতক থেকে মাত্র ৩ রান দূরে থেকে মিরাজ প্যাভিলিয়নে ফিরলে ৮৫ বল মোকাবেলায় ২৬ রান করা রাব্বি জেমিসনের বলে আউট হয়ে ফিরে যান।
এই দুইজনের বিদায়ের পর আর থিতু হতে পারেননি কেউ। প্রথম ইনিংসে সব কয়টি উইকেট হারিয়ে ৪৫৯ রান করা বাংলাদেশ দলের লিড থাকে ১৩০ রানের।
বল হাতে নিউজিল্যান্ডের হয়ে ট্রেন্ট বোল্ট ৪টি, নেইল ওয়াগনার ৩টি, টিম সাউদি ২টি এবং জেমিসন ১টি করে উইকেট নেন।
প্রথম ইনিংসে ১৩০ রানে পিছিয়ে থাকা নিউজিল্যান্ড দল চতুর্থ দিনে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি কিউইদের। ইনিংস উদ্বোধন করতে নামা দুই ব্যাটসম্যান উইল ইয়াং ও টম লাথাম মিলে স্কোরবোর্ডে মাত্র ২৯ রান তুলতেই এই জুটি বিচ্ছিন্ন করেন তাসকিন আহমেদ।
৩০ বল মোকাবেলায় ১৪ রান করা অধিনায়ক টম লাথামকে সাজঘরে ফিরান তাসকিন। ডেভন কনওয়ে ও উইল ইয়াং মিলে আবারও ৩৪ রানের জুটিতে আঘাত হানেন আরেক পেসার এবাদত হোসেন। ৪০ বল মোকাবেলায় ১৩ রান করা ডেভন কনওয়েকে সাদমানের ক্যাচে পরিণত করে এবাদত এই ইনিংসে নিজের প্রথম উইকেটের দেখা পান।
রস টেইলরের সাথে মিলে ওপেনার উইল ইয়াং ধৈর্য্যের পরীক্ষা নিচ্ছিলেন টাইগার বোলারদের। এই দুইজনের ৭৩ রানের জুটি আবারও বিচ্ছিন্ন করেন এবাদত। ১৭২ বল মোকাবেলায় ৬৯ রান করা ইয়াংকে এবাদত সাজঘরে ফিরিয়ে দিলে বিচ্ছিন্ন হয় টেইলরের সাথে তার জুটি।
শেষ সেশনে আরও আগ্রাসী হওয়া এবাদতের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি হেনরি নিকোলস ও টম ব্লান্ডেল। এই দুই ব্যাটসম্যানকেই রানের খাতা খোলার আগে সাজঘরে ফেরত পাঠিয়ে দেন তিনি। চতুর্থ দিনে বাকি সময়টা পার করেন রাচিন রবীন্দ্র ও রস টেইলর। চতুর্থ দিন শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে নিউজিল্যান্ড লিড নিয়েছে মাত্র ১৭ রানের। বল হাতে এবাদত ৪টি ও তাসকিন আহমেদ নিয়েছেন ১টি উইকেট।