ফেনীর দাগনভুঞা উপজেলার ৪ নং রামনগর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড সেকান্দরপুর গ্রামে মোবাইল চুরির অভিযোগে নুরুল আফচার নামে এক যুবককে বেদম প্রহার করা হয়েছে। মিরাজ, শেজান, হারুন,তন্ময় ও বাবুল গ্যাং মাস্তানরা আফচার কে ব্যাপক মারধর করেছে বলে জানা যায়।
ছেলেকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখে বাবা সাথে সাথেই স্টক করে। বর্তমানে ছেলের বাবা ফেনী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন। ছেলেকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, সেকান্দর পুর গ্রামের মিনাগাজি ভূঞা বাড়ীর গোলাম মোস্তফা নামক এক ব্যক্তির মৃত্যু হলে চারপাশের লোকজন তাকে দেখতে আসে। পাশের বাড়ির নুরুল আফচার নামক একটি ছেলেও দেখতে যায়। ঘটনাস্থল থেকে একটি মোবাইল ফোন চুরি হয়।
চুরির জেরধরে অভিযুক্ত নুরুল আফচার (২৬) নামক ছেলেকে নীজ ঘর থেকে টেনেহিঁচড়ে তুলে নিয়ে একটি ঘরের জানালার ভিতরে হাত দুটি পিছনে বেঁধে ব্যাপক মারধর করে এবং প্লাস দিয়ে হাতের চামড়া তুলে ফেলে, লাঠি দিয়ে পুরো শরিরে ব্যাপক মারধর করে। পুরো শরিরে মারের দাগ পড়ে যায়। ভিড়িও করতে চাইলে তাতে বাঁধা দেয়।
মারধর চলাকালীন ছেলের বাবাসহ এলাকার কিছু লোক তাকে আনতে যায়, কিন্তু অত্যাচারী আসামিরা কাউকে না মেনে মারধর চালিয়ে যায়।
অবশেষে নুরুল আফচারের বাবা আবুল বাশার (৫৫) কান্নাকাটি করে বলে, “যা তোরা আমার ছেলেকে মেরে পেল” এটা বলে নুরুল আফচারের বাবা বাড়ি এসে কষ্ট সহ্য করতে না পেরে স্টক করেন। নুরুল আফচারের বাবা এখন আশংকাজনক ভাবে ফেনী সদর হাসপাতালে ভর্তি আছে।
বর্তমানে নুরুল আফচার ও তার বাবা উভয়ই চিকিৎসাধীন অবস্থা রয়েছে। তবে এ বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে।