এক সাথে মরতে নদীতে ঝাঁপ প্রেমিকার, ভয়ে লাফ দেয়নি প্রেমিক

দুজনে একজন অপরজনকে ভালোবাসে, কিন্তু ভালোবাসলেও তাদের বিয়ে হয় অপর মানুষের সাথে। কিন্তু সেই বিয়ে বাদ দিয়ে তারা প্রেমিক যুগল একসাথে থাকতে চান। কিন্তু যখন তারা সামাজিক বাধার মুখে পড়ে, তখন দুজনে সিদ্ধান্ত নেন, তারা নদীতে লাফ দিয়ে একসাথে মারা যাবে। তাই দুজনে একসাথে বসে সময় ও স্থান নির্ধারণ করলে কোথায় কিভাবে মারা যাবেন। সেই কথা অনুযায়ী দুজনে গেলেন যমুনা নদীর পাড়ে। পাড় থেকে প্রেমিকা নদীতে লাফ দিলেও প্রেমিক দাড়িয়ে রইল। নদীতে লাফ দেয়ার পর প্রেমিকা যখন দেখলো প্রেমিক নেই, তখন সে সাতরিয়ে কোন রকম নদীর তীরে এসে জীবন রক্ষা করে।

তার প্রেমিকের এই প্রতারণা হতবাক হয়েছে প্রেমিকা। পরে প্রেমিকা ওই প্রতারকের বিরুদ্ধ থানায় প্রতারণা ও হত্যার অভিযোগ আনেন। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটেছে ভারতের উত্তর প্রদেশের প্রয়াগরাজে। খবর- হিন্দুস্তান টাইমস।

স্থানীয় প্রশাসন বলেছ, ৩২ বছর বয়সী ঐ নারী বিবাহ ছাড়া তার ২ বছরের ছোট চান্দু নামে যুবকের সাথে প্রেম করে আসছে, তারা অনেক দিন একসাথে ছিল। কিন্তু মাস খানেক আগে ঐ নারী তার ৬ বছরের মেয়ে সহ পুনেতে বেড়াতে যান। আর এই সুযোগে চান্দু বিয়ে করে ফেলেন। যখন ঐ নারী চান্দুর বিয়ের খবর পায়, তখন চান্দুর সাথে অনেক ঝামেলা করেন। পরবর্তীতে ২ জনে সিদ্ধান্ত নেন তারা একসাথে নদীতে লাফ দিয়ে মারা যাবে।

ওই নারীর অভিযোগ, দুজনে একসঙ্গে মারা যাবেন বলে যমুনা সেতুতে হাজির হন। কিন্তু তিনি লাফিয়ে পড়ার পর দেখেন প্রেমিক দাঁড়িয়ে আছে। তাই তাড়াতাড়ি সাঁতরে নদীর পার হয়ে ফিরে আসেন তিনি।

চান্দুর বিরুদ্ধে কয়েদগঞ্জ থানায় আনা হয়েছে বিশ্বাসঘাতকতা ও খুখুনের চেষ্টার অভিযোগ। বর্তমানে ঐ নারী স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

Leave a Comment