চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় বিজয় দিবস উপলক্ষে রেকর্ড সংখ্যক টিকিট বিক্রি হয়েছে এবার। ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে এবং ১৭ ডিসেম্বর শুক্রবার ছুটির দিনে টিকিট বিক্রি করে চিড়িয়াখানার আয় হয়েছে ১৩ লাখ ৫৪ হাজার ৫০০ টাকা।
১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে টিকিট বিক্রি হয় ১৩ হাজার ৯৪০টি। এদিন আয় হয় ৬ লাখ ৯৭ হাজার টাকা। গত দুই বছরের বিজয় দিবসের চেয়ে এ বছর টিকিট বিক্রি করে আয় হয়েছে বেশি।
করোনার মধ্যে ২০২০ সালের ১৬ ডিসেম্বর বুধবার টিকিট বিক্রি হয়েছিল ৯ হাজার ১০০টি। আয় হয়েছিল ৪ লাখ ৫৫ হাজার টাকা। ১৭ ডিসেম্বর টিকিট বিক্রি হয় ১৩ হাজার ১৫০টি। আয় হয় ৬ লাখ ৫৭ হাজার ৫০০ টাকা। ডিসেম্বরের প্রথম ১৭ দিনে আয় হয়েছে ৩৫ লাখ টাকা। পুরো ডিসেম্বর মাসে চিড়িয়াখানার আয় হয়েছিল ৩০ লাখ টাকা।
এছাড়া ২০১৯ সালের ১৬ ডিসেম্বর টিকিট বিক্রি হয়েছিল ১০ হাজার ৪০০টি। সেদিন আয় হয়েছিল ৫ লাখ ২০ হাজার টাকা। পুরো ডিসেম্বর মাসে মোট আয় হয়েছিল ৪৫ লাখ টাকা।
টিকিটের দাম নাগালে থাকায় সব শ্রেণি ও পেশার মানুষ এখানে পরিবার নিয়ে ভালো সময় কাটাতে পারেন। সংশ্লিষ্টরা জানান, শিশুদের বিনোদনের জন্য দোলনাসহ খেলার স্থান তৈরি করায় চিড়িয়াখানার প্রতি মানুষের আগ্রহ বেড়েছে। এছাড়া পাহাড়ের উপরে দৃষ্টিনন্দন সিঁড়িগুলো নজর কাড়ছে সবার। বেড়েছে বাঘসহ পশু-পাখির সংখ্যাও।
এছাড়া এবারের বিজয় দিবস বৃহস্পতিবারে হওয়ায় দর্শনার্থীরা অন্যবারের চেয়ে বেশি ভীড় করেছেন। কারণ শুক্র ও শনিবারও সরকারি ছুটি থাকায় অনেকে পরিবার পরিজন নিয়ে দেশের নানা জায়গা থেকে বন্দরনগরী চট্টগ্রাম ভ্রমণে আসেন। সব মিলিয়ে এবার চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় দর্শনার্থীর পরিমাণ রেকর্ড ছাড়িয়েছে।
করোনা পরবর্তী সময়ে ছুটির দিনগুলোতে দিনে গড়ে ১ লাখ টাকার টিকিট বিক্রি হতো। মাসে ৩০-৩৫ লাখ টাকার টিকিট বিক্রি করতাম আমরা। কিন্তু এবার বিজয় দিবসের দিনে আমরা ৬ লাখ টাকার বেশি টিকিট বিক্রি করেছি। এ মাসে টিকিট বিক্রি ৪৫ লাখ টাকা ছাড়াতে পারে। চিড়িয়াখানার কিউরেটর ডা. শাহাদাত হোসেন শুভ বলেন, গত দুই বছরের মধ্যে দৈনিক হিসাবে সর্বোচ্চ আয় হয়েছে গত দুই দিনে।