কুতুবদিয়ায় নির্বাচনী সহিংসতায় আওয়ামী লীগ নেতা নিহত

কুতুবদিয়ায় নির্বাচনী সহিংসতায় আওয়ামী লীগ নেতা নিহত

আবদুল হালিম (৩৫) নামে আওয়ামী লীগের এক নেতা কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় নির্বাচনী সহিংসতায় নিহত হয়েছেন। তিনি ছিলেন বড়ঘোপ ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
নিহত আবদুল হালিম ইউনিয়নের গোলদারপাড়া গ্রামের মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে।

বড়ঘোপ ইউনিয়নের পিলটকাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে আজ সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় ভোট চলাকালে গোলাগুলি ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

পিলটকাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও পাশের কুতুবদিয়া সরকারি কলেজ কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ বন্ধ রাখা হয় এ ঘটনার পর।

পুলিশের গুলিতে আবদুল হালিমের মৃত্যু হয়েছে বলে জানান কুতুবদিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী। ওই কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ চলছিল। কোনো প্রার্থীর মধ্যে বিরোধ কিংবা সংঘর্ষ ঘটেনি। এ রকম পরিস্থিতিতে পুলিশ গুলি চালালে হতাহত হওয়ার এ ঘটনা ঘটে।

কুতুবদিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওমর হায়দার বলেন, ভোটকেন্দ্রে গোলযোগ সৃষ্টির চেষ্টাকালে আবদুল হালিম নামে একজন নিহত হয়েছেন। তিনি কার গুলিতে মারা গেছেন, তা তিনি জানেন না। কুতুবদিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হালিমের লাশ রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবুল কালামের কয়েকজন সমর্থক দুপুর ১২টার দিকে ভোটকেন্দ্রে উচ্ছৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি করে ব্যালট পেপার ছিনতাইয়ের চেষ্টা চালান। তখন পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা বাধা দেন। এতে পুলিশের সংঘর্ষ বাধে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থকদের সঙ্গে।

গুরুতর আহত আবদুল হালিমকে উদ্ধার করে কুতুবদিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।

আরও সংবাদঃ কুতুবদিয়ায় নির্বাচনী সহিংসতায় আওয়ামী লীগ নেতা নিহত।

Leave a Comment