বিনোদন

‘কাঁচা বাদাম’ গায়ককে খুঁজে বের করল বাংলাদেশি ইউটিউবার

ভারতে ‘কাঁচা বাদাম’ গায়ককে খুঁজে বের করল বাংলাদেশি যুবক

ভারতে গিয়ে ভাইরাল ‘কাঁচা বাদাম’ গায়ককে খুঁজে বের করেছে বাংলাদেশি যুবক মাহসান। বর্তমান সময়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম মানুষের অন্যতম অনুষঙ্গ হয়ে পড়েছে!

এসব মাধ্যমে কখন কী ভাইরাল হয়, তা কেউ-ই বলতে পারেন না! আর মিম জেনারেশনে কোনো কারণ ছাড়াই যেকোনো বিষয় ট্রেন্ডিং হয়ে উঠতে পারে। তারই অন্যতম একটি উদাহরণ ফেরিওয়ালার গাওয়া ‘কাঁচা বাদাম’ শিরোনামের গানটি; যা গেয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের ভুবন বাদ্যকর।

ফেসবুক, ইউটিউব,লাইকি,টিকটক, সব মাধ্যমে ঘুরে বেড়াচ্ছে গানটি। এখন এই ‘কাঁচা বাদাম’ জ্বরে আক্রান্ত তরুণ-তরুণীরা। বুকের সমস্যা নিয়ে স্ত্রীসহ কলকাতায় চিকিৎসা নিতে গেছেন তিনি।

প্রথমে হাওড়া থেকে স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে ট্রেনে চেপে বসেন তিনি। ভাইরাল এই বাদাম বিক্রেতাকে খুঁজে বের করতে বেশ পরিশ্রম করতে হয়েছে মাহসানকে। ৬ ঘণ্টা পর রামপুরহাট স্টেশনে নামেন তারা। সেখানে জানতে পারেন, বীরভূমের যেখানে তারা যেতে চান সেটা আরও চার স্টেশন পূর্বে। তার মানে ফেরত যেতে হবে। কিন্তু ততক্ষণে সন্ধ্যা হয়ে গেছে। এদিন আর যাওয়া যাবে না। হোটেলে থাকার সিদ্ধান্ত নিলেন এই দম্পতি। সেখানেই বাধে বিপত্তি।

ভোর চারটা পর্যন্ত অপেক্ষার পর ৫টার দিকে একটা ট্রেনে উঠে দুবরাজপুরে নামেন। তারা যে স্টেশনে নেমেছিলেন সেখানে থাকার মতো কোনো হোটেল ছিলো না। পরে সেখান থেকে তারা তারাপীঠ চলে আসেন। নানা পথ ভেঙে দুবরাজপুর ব্লকের লক্ষ্মীনারায়ণপুর পঞ্চায়েতের প্রত্যন্ত গ্রাম কুড়ালজুড়ি গ্রামে পৌঁছান তারা।

সকালে অটো থেকে নামতেই দেখা হয় ভুবন বাদ্যকরের সঙ্গে। প্রথমে জড়িয়ে ধরেন মাহসান। তারপর ভুবন বাদ্যকরের সঙ্গে কথা বলেন। খুব মনোযোগ দিয়ে গান শোনেন। ততক্ষণে ভিড় জমে যায় ওই এলাকায়। এরপর ভুবন যেখানে থাকেন, সেখানে নিয়ে যান মাহসানকে। এক জীর্ণ পলিথিনে ছাওয়া মাটির ঘরে থাকেন ভুবন। পরিবারে রয়েছে স্ত্রী, দুই ছেলে। এক ছেলের বউ ও নিজের স্বামী পরিত্যক্ত বোন।

প্রসঙ্গত, ভুবন বাদ্যকর বাদাম বিক্রি করেন। ভাজা বাদাম নয়, কাঁচা বাদাম। ভাজা বাদামের অপকারিতা আর কাঁচা বাদামের উপকারিতা নিয়ে একটি গান বেঁধেছেন তিনি। এই গানের কথা যুক্ত হয়েছে টাকা ছাড়াও কিসের বিনিময়ে বাদাম বিক্রি করেন, যেমন ভাঙা মোবাইল, সিটি গোল্ডের পুরনো জিনিস, মাথার চুল ইত্যাদি। গানের কথায় এসব আর অদ্ভুত সুর তরুণরা ইন্টারনেটে পাওয়া মাত্রই লুফে নেয়।

শুধু তিনি নন, বাদামওয়ালা ভুবনের এই গানের সুরের টানে ছুটে আসেন অনেকে। গান শোনার পাশাপাশি তার কাছে ক্রেতারা বাদামও কেনেন। ভুবনের দৈনিক আয় ছিল ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা। এখন কিছুটা বেড়েছে। এদিকে ভুবন বাদ্যকর ভাইরাল হয়ে যাওয়ায় তার বাসায় ছুটে যান বিধায়ক অনুপ কুমার সাহা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *