আমার ব্যক্তিগত ভিডিও লিক করার অধিকার কারও নেই: পরীমনি

আমার ব্যক্তিগত ভিডিও লিক করার অধিকার কারও নেই: পরীমনি

ঢাকাই সিনেমার  জনপ্রিয় নায়িকা পরীমনি ব্যক্তিগত গোপন তথ্য প্রকাশ হওয়া নিয়ে বিরক্ত। বিশেষ করে তিনি রিমান্ডে তার দেওয়া তথ্য প্রকাশ হওয়ায় বিব্রত।

পরীমনি যুগান্তরকে এসব কথা বলেন, ২৭ দিন কারাভোগের পর বুধবার ছাড়া পেয়ে।

ঢালিউড নায়িকা রিমান্ডের অভিজ্ঞতা নিয়ে বলেন, তারা আমাকে সেভাবে হয়রানি করেনি।  কি হয়েছে সবই আমি বলব। ফোন, গাড়ি সব সিআইডিতেই আছে। যেসব ভিডিও বাইরে এসেছে সেগুলো ওই ফোনেই ছিল। তিনি বলেন, আমার ব্যক্তিগত ভিডিও লিক করার রাইটস কারও নেই। তাও আমার ফোন থেকে। আমার বাসার সিসিটিভি ফুটেজও নিয়ে যায়। অনেক তো হলো। সবকিছুই তো একটা জায়গায় শান্ত হওয়া উচিত। আমার থাকার জায়গাটা পর্যন্ত ছাড়তে না। আমি টায়ার্ড হয়ে যাই মাঝে মাঝে। কতক্ষণ পারা যায় এভাবে?

পরীমনি আদালতে চিৎকার করে প্রতিবাদ জানানোর প্রসঙ্গে বলেন, চোখের সামনে আমাকে ফাঁসিয়ে দিয়েছে, আমি বলব না? আরে আমাকে যখন এখান (বাসা) থেকে নেয় তখন আমি জানি নাকি যে, আমাকে গ্রেফতারের জন্য নেয়।

এখান থেকে কত নাটক করে নিল আমাকে। বলল, জাস্ট অফিসে যাবেন, কথা বলবেন, চলে আসবেন। ওমা, পরদিন দেখি পরীমনি গ্রেফতার। আমি বুঝলাম না কিসের জন্য। এগুলো অনেক কথা। সব বলব আমি।

গণমাধ্যমের ওপর বিরক্ত পরীমনি বলেন, সবাই পরিচয় দিচ্ছেন সাংবাদিক। সবাই কি সাংবাদিক? মোবাইল হাতে নিলেই কি সাংবাদিক হয়ে যায়? এরা কেউ আসলে সাংবাদিক না। তারা বেশিরভাগ ইউটিউবে কন্টেন্ট বানায়। ফ্ল্যাটের লোকজন তাদের সরে যাওয়ার অনুরোধ করলেও তারা সাংবাদিক পরিচয়ে দাঁড়িয়ে থাকে না সরে। অন্য ফ্ল্যাটের লোকজনকে সাংবাদিক বলে হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। আসলে তারা ইউটিউব কন্টেন্ট বানানোর জন্য এসব করে। রসালো হেডিং দেবে।

শারীরিক অবস্থা এখন কেমন’- এমন প্রশ্নের উত্তরে মৃদু হাসিতে পরীমনি বলেন, পাগল পাগল হয়ে গেছি। এক্সাইটমেন্টে ঘুম হয়নি ছাড়া পাওয়ার আগের রাতে। আমাদের সঙ্গে যারা ছিল ওদের কেউ কেউ নামাজ পড়ছিল, কেউ জেগে ছিল। একটা সম্পর্ক হয়ে গিয়েছিল ওদের সঙ্গেও। ফজরের আগে ভাবলাম দুই ঘণ্টা ঘুমাই, ৮টার সময়ে হয়তো ডাকবে।

ওমা, ফজরের আজানের পরই একজনের পর একজন আসা শুরু হয়ে গেছে। একজন বলছে রেডি হও, যেতে হবে। একটা ফোঁটাও আমি ঘুমাইনি। গাড়িতে একটুখানি চোখটা বন্ধ হয়েছিল।

আরও সংবাদঃ আমার ব্যক্তিগত ভিডিও লিক করার অধিকার কারও নেই: পরীমনি।

Leave a Comment