আরও এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে পদ্মা সেতুর নাট খুলে ভিডিও ধারণ করার ঘটনায়। সে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা। যুবকের নাম মাহদি হাসান।
কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) প্রধান ও অতিরিক্ত কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) এ তথ্য জানিয়েছেন।
পদ্মা সেতুর নাট খোলা মাহদি তামিরুল মিল্লাত মাদরাসা থেকে দাখিল ও আলিম শেষ করেছেন। তিনি শিবিরকর্মী ছিলেন মাদরাসায় পড়াকালীন অবস্থায়।
সাংবাদিকদের মাহদিকে নাট-বল্টু হাত দিয়ে খুলেছে কি না এমন প্রশ্নে জবাবে আসাদুজ্জামান বলেন, মাহদি গোপনে রেঞ্জ দিয়ে মোবাইলে ভিডিও ধারণের আগে নাট-বল্টু খোলেন। এসময় তাকে সহায়তা করেন তার সহযোগীরা । এরপর ভিডিও ধারণের সময় হাত দিয়ে খুলে তা ভিডিও করে ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করেন।
উল্লেখ্য, ২৫ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করেন। পরদিন স্বপ্নের এই সেতু যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।
এরপর পদ্মা সেতুর রেলিংয়ের নাট খোলার একটি ভিডিও আপলোড করা হয় কাইসার ৭১ (Kaisar 71) নামে একটি টিকটক অ্যাকাউন্ট থেকে। ওই ভিডিও সামাজিক যোগযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয় আপলোডের ৩৬ সেকেন্ডের মধ্যেই।
ভিডিওতে দেখা যায়, বায়েজিদ তালহা নামে এক যুবক
পদ্মা সেতুর কংক্রিটের রেলিংয়ের ওপর থাকা লোহার রেলিংয়ের দুটি নাট খুলছেন। মূলত নাট দুটি দিয়ে কংক্রিটের রেলিং ও লোহার রেলিংয়ের সংযোগ দেওয়া হয়েছে। নাট খুলে হাতে নিয়ে বায়েজিদকে বলতে শোনা যায়, ‘এই হলো আমাদের পদ্মা সেতু। আমাদের হাজার হাজার কোটি টাকার পদ্মা সেতু।’ এ সময় ক্যামেরার পেছন থেকে আরেকজনকে বলতে শোনা যায়, ‘নাট খুলে ভাইরাল করে দিয়েন না।’ এরপর সারাদেশে শুরু হয় তীব্র আলোচনা-সমালোচনা।
২৬ জুন বিকেলে বায়েজিদকে রাজধানীর শান্তিনগর এলাকা থেকে আটক করে সিআইডি। এরপর তার নামে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করা হয়।
এ ঘটনায় মাহদি হাসানও জড়িত ছিলেন বলে জানা গেছে।