ফুলগাজীতে আগুনে দগ্ধ গৃহবধূ অর্ণা রাণী দাসের (২০) মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার ভোরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই গৃহবধূর মৃত্যু হয়। গত ২৭ জানুয়ারি বুধবার রাতে উপজেলার সদর ইউনিয়নের বনিক পড়া গ্রামে চুলোর আগুন পোহাতে গিয়ে গৃহবধূ অর্ণা রাণী দাস আগুনে পুড়ে দগ্ধ হয়।
নিহত অর্ণা রাণী দাস ফুলগাজী সদর ইউনিয়নের বণিক পাড়া গ্রামের শিবলু কুমার তিলকের স্ত্রী ও ফেনী সদর উপজেলার কাজিরবাগ ইউনিয়নের রুহিতিয়া গ্রামের লক্ষ্মণ দাসের মেয়ে।
শিবলু কুমারের মামাতো ভাই ঝুলন হাজারি জানান, প্রচন্ড ঠান্ডর কারণে গত বুধবার রাতে রান্নাঘরে চুলোর পাশে আগুন পোহাচ্ছিলেন অর্ণা রাণী দাস। এক পর্যায়ে বে-খেয়ালে তাঁর পরনের কাপড়ে আগুন লেগে যায়। মুহুর্তের মধ্যে আগুন পুরো শরীরে ছড়িয়ে পড়লে তিনি দগ্ধ হন। এসময় তাঁর শোরচিৎকারে পরিবারের অন্য সদস্যারা এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়।
চিকিৎসক জানিয়েছেন, আগুনে ওই গৃহবধূর ৬৫ শতাংশ শরীর পুড়ে যায়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার ভোরে হাসপাতালে ওই গৃহবধূর মৃত্যু হয়।
ফুলগাজী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ কুতুব উদ্দীন জানান, নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় কোন অভিযোগ না করায় থানায় অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে।