বিনোদন

বাংলাদেশ তালেবানি রাষ্ট্র নয় যে পরীমনিদের নিগৃহীত হতে হবে:ঢাবি অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী

বাংলাদেশ তালেবানি রাষ্ট্র নয় যে পরীমনিদের নিগৃহীত হতে হবে:ঢাবি অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী।

পরীমনির মতো অপরাধে অভিযুক্তদের বারবার রিমান্ডে নেওয়া উচিত নয়। তার জামিন হয়তো  উচ্চ আদালত হস্তক্ষেপ না করলে আরও বিলম্বিত হতো। সমাজচিন্তক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী জানান, বাংলাদেশ তালেবানি রাষ্ট্র নয় যে পরীমনিদের নিগৃহীত হতে হবে।

তিনি শুক্রবার এফডিসিতে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির আয়োজনে ‘বিনোদন জগতে মাদকের অপব্যবহার বাড়ার কারণ’ নিয়ে ছায়া সংসদে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। প্রতিযোগিতায় বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজির বিতার্কিকরা সরকারি বাঙলা কলেজকে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হয়। পরে অংশগ্রহণকারী দলের মাঝে ট্রফি ও সনদপত্র প্রদান করা হয়। প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন উন্নয়নকর্মী ড. এসএম মোর্শেদ, নিশাত সুলতানা, সাংবাদিক আব্দুল্লাহ তুহিন, ড. সাকিলা জেসমিন ও নাদিয়া শারমিন।

মাদকের অপব্যবহার বাড়ার পেছনে রাষ্ট্রের নীরব ভূমিকা আছে বলে জানিয়েছেন অধ্যাপক ড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী। পরীমনিকে মাদকের মামলায় গ্রেফতার করে হেনস্তা করার কারণ তিনি প্রতিবাদী। অন্যায়ভাবে তাকে বারবার রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আদালতের এই ধরনের সিদ্ধান্তের কারণে বিচারব্যবস্থার প্রতি মানুষের নেতিবাচক ধারণা সৃষ্টি হয়। বিনোদন ব্যবসার সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে গিয়ে হয়তো পরীমনিকে বোট ক্লাবে যেতে হয়েছে। তা না হলে এই পেশায় টিকে থাকতে পারছে না শোবিজ পেশার সঙ্গে যুক্তরা। পরীমনির ন্যায়বিচার পাওয়া উচিত। তবে পরীমনির পক্ষে জনমত তৈরি হওয়ায় ন্যায়বিচার নিয়ে আশাবাদী হওয়া যায়। যদিও বর্তমানে জনমতের প্রতিফলন হওয়ার সুযোগ সংকুচিত হয়ে আসছে।

হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, আটক বা গ্রেফতারের পর কাউকে অভিযুক্ত করে রাতের রানি বা বিভিন্ন আপত্তিকর উপাধি দেওয়া মোটেই সঠিক নয়। বিচারের আগেই রায়ের মতো স্টেটমেন্ট দিয়ে মিডিয়া ট্রায়াল করে কারও ব্যক্তিগত সম্মানহানি করা উচিত নয়, যা ঘটেছে চিত্রনায়িকা পরীমনির ক্ষেত্রে। অথচ বাংলাদেশ সংবিধানের ৩৫(৫) অনুচ্ছেদে সুস্পষ্টভাবে বলা আছে-কাউকে নিষ্ঠুর, অমানবিক বা লাঞ্ছনাকর দণ্ড বা এরূপ কোনো আচরণ করা যাবে না। পরীমনির বাসায় যদি সত্যি মদ বা মাদক পাওয়ার অভিযোগ হয়ে থাকে, তাহলে কীভাবে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে তা তার বাসায় গেল। কারা এর পৃষ্ঠপোষক। কাদের কারণে পরীমনির আজ এই অবস্থা। কোন রাতের রাজারা পিয়াসার বা মৌদের উত্থানের পেছনে বেনিফিশিয়ারি। সেই প্রকৃত অপরাধীদের চিহ্নিত করে আইনের মুখোমুখী করা হলে প্রশাসনের প্রতি জনগনের আস্থা বাড়বে।

আরও সংবাদঃ বাংলাদেশ তালেবানি রাষ্ট্র নয় যে পরীমনিদের নিগৃহীত হতে হবে:ঢাবি অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *