এবার বরিশালে জন্ম নেওয়া তিন কন্যাশিশুর নাম স্বপ্নের পদ্মা সেতুর নামে ‘স্বপ্ন-পদ্মা-সেতু’ নামকরণ করা হয়েছে। এর আগে নারায়নগঞ্জে একসাথে তিন কন্যাসন্তান জন্ম গ্রহণ করেছে, তাদের নামও ‘স্বপ্ন-পদ্মা-সেতু’ নামকরণ করা হয়েছে। বরিশাল নগরের সদর রোডের একটি বেসরকারি হাসপাতালে বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) সকালে এ তিন কন্যাশিশুর জন্ম হয়।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, আজ সকালে নগরের ডা. মোখলেছুর রহমান (প্রা.) হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভর্তি করা হয় বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার চরামদ্দি এলাকার বাসিন্দা ও ভাড়ায়চালিত মোটরসাইকেল চালক বাবু সিকদারের স্ত্রী নুরুন্নাহার বেগমকে (২১) ।
জরুরি ভিত্তিতে ডা. মুন্সী মুবিনুল হক সকাল সাড়ে ৮টার দিকেনঅস্ত্রোপচার করেন। ডা. মুন্সী মুবিনুল হক জানান, সিজারিয়ানের মাধ্যমে জন্ম নেওয়া তিন নবজাতক ও তার মা সুস্থ আছেন। তিনি বলেন, সদ্য ভূমিষ্ট শিশুদের মধ্যে দুজনের ওজন দেড়কেজি এবং একজনের ১ কেজি ৪ শত গ্রাম। আশা করি তারা সবাই যথাসময়ে সুস্থভাবে বাড়িতে ফিরতে পারবেন।
এদিকে কন্যাশিশুর বাবা বাবু সিকদার জানান, আমার তিন কন্যা পৃথিবীর মুখ দেখেছে পদ্মা সেতু উদ্বোধনের মাত্র দুদিন আগে। তাদের নিয়ে অনেক স্বপ্ন রয়েছে আমাদের। আমার তিন কন্যা সন্তান যেভাবে আমাদের মুখে হাসি ফুটিয়েছে, তেমনি পদ্মা সেতু পেয়েও আমরা দক্ষিণাঞ্চলবাসী খুব খুশি।
আমার সন্তানদের সকাল থেকে যারাই দেখতে এসেছেন তারাই বলেছেন সন্তানদের নাম যেন স্বপ্নের পদ্মা সেতুর সঙ্গে মিলিয়ে রাখি। তাই অবশেষে তিন সন্তানের নাম রাখলাম স্বপ্ন, পদ্মা ও সেতু। আমি আশা করি তারা বড় হয়ে মানুষের কল্যাণে কাজ করবে। আর আল্লাহ যেন আমাদের সংসারকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সহায়তা করে সেজন্য প্রার্থনা করছি।
বাবু সিকদার আরও জানান, ইসলামিয়া হাসপাতালে ডা. তানিয়া আফরোজকে দেখিয়েছিলাম আমার স্ত্রী গর্ভবতী হওয়ার পর থেকে। সকালে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি ডেলিভারির সময় ঘনিয়ে আসায়। এরপর ডা. তানিয়া আফরোজের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিকেল ছাড়া সময় দিতে পারবেন না বলে জানান।
ফলে আমরা জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিক্যাল অফিসার ডা. মুন্সী মুবিনুল হকের স্মরণাপন্ন হই, যখন স্ত্রীর শারীরিক অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। তিনিই সফলভাবে সিজার করেন।
এদিকে তিন কন্যাশিশুকে নিয়ে বেশ খুশি তাদের নানী তাসলিমা বেগম ও দাদী মমতাজ বেগম।