খেলাধুলা

পতাকা উড়িয়ে অনুশীলন করায় পাকিস্তান ক্রিকেট দলের বিরুদ্ধে মামলা

পতাকা উড়িয়ে অনুশীলন করায় পাকিস্তান ক্রিকেট দলের বিরুদ্ধে মামলা

মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে পাকিস্তান ক্রিকেট দলের অধিনায়ক বাবর আজমসহ ২১ জনের বিরুদ্ধে নালিশি মামলা দায়ের করেছে ।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আইনজীবী মো. মাহবুবুল হক।

তিনি জানান, পাকিস্তান দল বাংলাদেশের মিরপুরের একাডেমি মাঠে পতাকা উড়িয়ে অনুশীলন করার ফলে তাদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়। বিকেলে আদেশ দেওয়া হবে এ বিষয়ে।

এর আগে গেল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ
মিরপুর স্টেডিয়ামে অনুশীলনের সময় পাকিস্তানের পতাকা ওড়ানোর জন্য পাকিস্তান ক্রিকেট দলের শাস্তি দাবি করেছে। সেদিন পাকিস্তানের পতাকা পুড়িয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানানো হয়।

পতাকা ওড়ানোর ঘটনায় বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের নীরব ভূমিকার জন্য তার অপসারণেরও দাবি তুলেছে সংগঠনটি।

সমাবেশে ভাস্কর রাশা বলেন, “ খেলার মাঠে পতাকা বিধি লঙ্ঘন করে পাকিস্তানের পতাকা ওড়ানোর মতো ন্যক্কারজনক ঘটনার বিষয়ে বিসিবির নীরবতা আমাদেরকে হতাশ করেছে। দেশের জনগণের নিকট জবাবদিহি করতে হবে বিসিবির চেয়ারম্যান নাজমুল হাসান পাপনকে।

পরে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক মো. আল মামুন ও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলও মানববন্ধনে বক্তব্য দেন।

উল্লেখ্য, তিনটি টি-টোয়েন্টি ও দুইটি টেস্ট খেলতে পাকিস্তান ক্রিকেট দল বর্তমানে বাংলাদেশ অবস্থান করছে। বাংলাদেশের মাটিতে পা রেখে হাফিজ-শাহিনরা
সোমবার (১৫ নভেম্বর) প্রথম দিনের অনুশীলন করেন।

পাকিস্তান দলের নেট প্র্যাকটিস করার সময় সবার চোখে সেদিন মিরপুরে অভিনব একটি জিনিস ধরা পড়ে। পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা শের-ই-বাংলা একাডেমির পশ্চিম-উত্তর কোণে নেটের দুদিকে নিজেদের জাতীয় পতাকা টানিয়ে ব্যাটিং-বোলিং প্র্যাকটিস করতে থাকেন। পতাকা উড়িয়ে অনুশীলন করায় এক মুহূর্তেই আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়।

পাকিস্তান জাতীয় ক্রিকেট দলের মিডিয়া ম্যানেজার ইব্রাহিম বাদিস পরে পাকিস্তানের এমন কৌশলের কারণ ব্যাখ্যা করেছেন। ইব্রাহিম বাদিস বলেন, ক্রিকেটারদের মধ্যে দেশপ্রেম জাগ্রত করতে ‘হেড কোচ সাকলায়েন মুশতাক এই কৌশল চালু করেন। তিনি এটি প্রথম চালু করেন জাতীয় দলে যোগ দিয়ে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হোম সিরিজের প্রস্তুতিতে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও আমরা তা অনুসরণ করেছি।’

তিনি বলেন, ‘সাকলায়েন মুশতাক অনূর্ধ্ব-১৬ আর অনূর্ধ্ব-১৯ দলের দায়িত্বে যখন ছিলেন তখনও তিনি একই কাজ করেছিলেন। এ ছাড়াও সাকলাইনকে এমনটা করতে দেখা গেছে ন্যাশনাল হাই পারফরম্যান্স ইউনিটের ক্যাম্পেও। এবার জাতীয় দলের দায়িত্ব নিয়েও তিনি এটি অব্যাহত রেখেছেন।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *