দুই সন্তানসহ নদীতে ঝাঁপ দিলেন মা, জীবিত উদ্ধার ১
মা আরিফা আক্তার দুই শিশুসন্তান তাহমিদা আক্তার (৯) ও মুর্শিদা আক্তারকে (৭) কে নতুন জামা-জুতা কিনে দেওয়ার কথা বলে বাজারের উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হয়। তবে দুই শিশু সন্তানকে বাজারে না গিয়ে ঝাঁপ দেয় নদীতে। এতে পানিতে তলিয়ে যায় মা আরিফা আক্তার ও তার আরেক কন্যা মুর্শিদা আক্তার, তবে এক শিশু সন্তান তাহমিদা আক্তার জীবিত উদ্ধার হয়।
গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় নৌপুলিশ শিশু তাহমিদা আক্তারের মরদেহ উদ্ধার করে নরসিংদীর পলাশ উপজেলার চরসিন্দুর ইউনিয়নের শীতলক্ষ্যা নদীর নীজামউদ্দিন খেয়া ঘাট থেকে। এর আগে গত ১৯ জুন রোববার বিকেলে আরিফা আক্তার দুই শিশু সন্তান নিয়ে নদীতে ঝাঁপ দেয় গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার সিংহশ্রী ইউনিয়নে শীতলক্ষ্যা নদীতে। কাপাসিয়ার রায়েদ ইউনিয়নের মৃত আবদুল মালেকের মেয়ে আরিফা আক্তার। মাধবদীর বঙ্গারচর নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) তরিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে স্থানীয়রা একটি লাশ ভেসে থাকতে দেখে ঘোড়াশাল পৌর এলাকার নিজাম উদ্দিন ঘাটে পুলিশকে খবর দেয়। পরে লাশটি উদ্ধার করে নৌপুলিশ। এ সময় লাশটির পরিচয় শনাক্ত করতে গিয়ে জানা যায়, গত তিনদিন আগে আরিফা আক্তার নামে ওই মা দুই মেয়েকে নিয়ে গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার সিংহশ্রী ইউনিয়ন এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীতে ঝাঁপ দিয়ে ছিলেন। পরে স্থানীয়রা তাহমিদা আক্তার নামে এক শিশুকে জীবিত উদ্ধার করে, কিন্তু মা আরিফা আক্তার ও ছোট মেয়ে মুর্শিদা আক্তার নিখোঁজ ছিল। সে সময় কাপাসিয়া উপজেলার ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা দুই দিনব্যাপী উদ্ধার কাজ চালিয়েও তাদের কোনো সন্ধান পায়নি।
এ বিষয়ে বঙ্গারচর নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) তরিকুল ইসলাম বলেন, উদ্ধার শিশু মুর্শিদার আক্তারের মরদেহটি তার মামা হেদায়েত উল্লাহর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি।