কক্সবাজার থেকে ফেরার পথে মাইক্রোবাস পানিতে পড়ে বাবা ও মেয়ের মৃত্যু

কক্সবাজার থেকে ফেরার পথে শরীয়তপুরের নড়িয়ায় মাইক্রোবাস খাদে পড়ে বাবা-মেয়ের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আরও তিনজন আহত হয়েছেন। এ দুর্ঘটনা ঘটে শনিবার (২৯ অক্টোবর) রাত ৩টার দিকে ঢাকা-শরীয়তপুর সড়কের জামতলা এলাকায়।

শরীয়তপুর সদর উপজেলার আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের দাতপুর গ্রামের আবুল হোসেন ব্যাপারীর ছেলে নিহত রাশেদুল হক ব্যাপারী (৪২)।

তিনি শরীয়তপুর জজকোর্টের আইনজীবী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এ ঘটনায় আরও নিহত হয়েছে রাশেদুলের দুই বছরের মেয়ে মাইশা। আহত হয়েছেন রাশেদুলের স্ত্রী মিলি আকতার, তার বড় মেয়ে মেবিন আকতার ও গাড়িচালক কামরুল হাসান।

পুলিশ ও নিহতের পরিবার জানায়, গত বুধবার পরিবার নিয়ে ভ্রমণের জন্য কক্সবাজারে যান রাশেদ। ভ্রমণ শেষে শনিবার ঢাকা হয়ে শরীয়তপুরে ফেরার পথে জামতলা এলাকায় দুর্ঘটনার কবলে পড়েন তারা। কক্সবাজার থেকে চালক কামরুল সারা রাত গাড়ি চালিয়ে ক্লান্ত হয়ে পড়লে রাশেদুল চালককে বিশ্রাম দিতে নিজেই ড্রাইভ করে ঢাকা থেকে শরীয়তপুরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন।

ঢাকা-শরীয়তপুর সড়কের জামতলা এলাকায় রাত ৩টার দিকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তাদের বহনকারী মাইক্রোবাসটি পাশের খাদে পড়ে পানিতে তলিয়ে যায়।  গাড়িতেই আটকা পড়ে চালকসহ রাশেদুলের পরিবার। পরে কামরুল গাড়ির জানালার কাচ ভেঙে বেরিয়ে আসেন। আরও দুটি কাচ ভেঙে রাশেদুলের স্ত্রী ও বড় মেয়েকে উদ্ধার করেন তিনি। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় কামরুল গাড়িতে আটকে থাকা রাশেদুল ও তার দুই বছরের মেয়ে মাইশার মরদেহ উদ্ধার করেন। রবিবার সকালে মরদেহ উদ্ধার করে গ্রামের বাড়ি দাতপুর নিয়ে যায় পরিবার।

রাশেদের ভাগ্নে বলেন, আমার মামা তার পরিবার নিয়ে কক্সবাজার থেকে গ্রামের বাড়ি ফিরছিলেন। পদ্মা সেতু এলাকায় এসে মামা গাড়ির চালককে পেছনে বসতে বলে নিজে গাড়ি চালাচ্ছিলেন। জাজিরা মহাসড়কের দাতপুর এলাকায় পৌঁছালে গাড়িটি খাদে পড়ে যায়।

নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাফিজ উদ্দিন জানান,  খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে আহতদের। যেহেতু সড়ক দুর্ঘটনা এবং পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে মরদেহগুলো।

Leave a Comment