হিরো আলম সোশ্যাল মিডিয়ার আলোচিত নাম। সারা বাংলার মানুষের কাছে তিনি এখন পরিচিত নাম। তার নামটি সাড়া ফেলেছে এবারের গরুর হাটেও।
জিয়াম নামের এক যুবক বগুড়ার ফুলবাড়ী মধ্যপাড়া এলাকার শখের বসে পালন করা একটি ষাঁড়ের (গরু) নাম রেখেছেন হিরো আলম। আর এখন আলোচনায় সেই ষাঁড়টিই।





এ প্রসঙ্গে হিরো আলম জানান, ‘মানুষ হিরো আলমকে ভালোবাসে বলেই কেউ কেউ টি-শার্ট বের করে, কেউ গরুর নাম রাখে, কেউ ভাস্কর্য বানায়। আমার প্রতি এটা মানুষের আলাদা ভালোবাসা।’
তিনি আরও বলেন, অনেকেই আমার নাম ব্যবহার করে। এতে আমার কোনো দুঃখ নেই, কষ্ট নেই।’ হিরো আলম আরও বলেন, তার সঙ্গে আমার কথা হয়েছে ‘যে লোকটি গরুর নাম রেখেছে। তিনি (গরুর মালিক) আমাকে বলেছেন- ‘আপনি মানুষের পাশে থাকেন, আপনাকে ভালোবেসেই গরুর নামটা আপনার নামে রেখেছি।’





অন্যদিকে জিয়াম জানিয়েছেন, ফ্রিজিয়ান জাতের এই বাছুরটিকে নিজ বাড়িতে তৈরি খামারে জন্ম নেওয়ায় দেশীয় পদ্ধতিতে লালন-পালন করেছেন। দিনে দিনে গরুটির ওজন বেড়ে ৯০০ কেজি বা ২২ মণ হয়েছে
নিয়মিত খাবার ও পরিচর্যা করার ফলে। সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে খড়, তাজা ঘাস, খৈল, ভুষি, চালের কুড়া, ভুট্টা, ভাতসহ পুষ্টিকর খাবারের মাধ্যমে লালন-পালন করা হচ্ছে, কোনো ধরনের ক্ষতিকর ট্যাবলেট ও ইনজেকশন দেয়া হয়নি। প্রতিনিয়ত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া হয়েছে, পাশাপাশি নিয়মিত দুবার করে গোসল করানো, পরিষ্কার ঘরে রাখা ও রুটিন অনুযায়ী ভ্যাকসিন দেওয়াসহ সব করা হয়েছে ।





কোরবানির বাজারে বিক্রির জন্য এই হিরো আলমের (গরু) দাম হাঁকা হয়েছে ৮ লাখ টাকা। এটি ৮ ফুট দৈর্ঘ্য ও সাড়ে ৫ ফুট উচ্চতার। স্থানীয়রা ভিড় করছে গরুটি একনজর দেখতে।
জিয়াম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছবি ও বিবরণ দিয়ে কোনো হাটে না নিয়ে বাড়িতে রেখেই গরুটি বিক্রির চেষ্টা করছেন।